তাসনুবা ইসলাম মীম,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ করোণার নতুন রূপ ডেল্টা ভেরিয়েন্ট। যা বাংলাদেশে এক নতুন মহামারীর নাম। এ যেনো নতুন এক আতঙ্ক। প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক ধাপে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন সরকার। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস পেলেও দৈনন্দিন জীবন মানের চাকা পুরো বন্ধ হয়ে গেছে।

একের পর এক লকডাউন শেষে আজ বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে চলতে শুরু করেছে দূরপাল্লার যানবাহন ও নৌযান। খুলেছে শপিং মল, দোকানপাট। বসেছে নিয়মিত ছোট-বড় হাট-বাজার। নিরব নিস্তব্ধ শহর এখন চলতে শুরু করেছে ঠিক আগের নিয়মেই। দীর্ঘ এ লকডাউন শেষে কর্মচাঞ্চল্য নিয়ে চিরচেনা রূপে ফিরেছে আমতলী।তবে অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। একটি সূত্র জানিয়েছে-খাবারের হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ও বাকি সকল দোকানপাট সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকার নিয়ম বর্ধিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ কর্তৃক ৯ আগস্ট শীতাংশু শেখর বিশ্বাস এর স্বাক্ষরিত একটি গণপরিবহন চলাচল সংক্রান্ত জরুরী বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এতে বলা হয়েছে- আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না এবং দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী বহন করা যাবেনা। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচল এর ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিকক্ষেত্রের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট দপ্তর সংস্থা মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে। পূর্বের ভাড়ায় (৬০% বর্ধিত ভাড়া প্রযোজ্য হবে না) গণপরিবহন চলবে। পূর্বের ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া কোনভাবেই আদায় করা যাবে না। পরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর, হেলপার কাম ক্লিনার এবং টিকেট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাত্রা শুরু ও শেষে যানবাহন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এছাড়াও যানবাহনের মালিকগণকে যাত্রীগণের মালপত্র জীবানুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় মেনে চলতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন এ বিজ্ঞপ্তিতে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।